শুরুতেই একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছি, সবশেষ কখন আপনি গান শুনেছিলেন? ঘণ্টা খানেক আগে? বা আজ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর? গত রাতে? নাকি কিছুক্ষণ আগে? আমার উত্তরটা হচ্ছে-আমি গান শুনছি আর লিখছি। গান কী জিনিস যে আমরা এরকম সময়ে অসময়ে ইচ্ছে হলেই কানে বাজিয়ে যাই? একটা মানুষ বা কয়েকজন মিলে কিছু বাক্য সুন্দর করে সাজিয়ে গলায় তুলবে আর সাথে কিছু শব্দ বাজবে! এ আর এমন কি? এটা শোনার কি হলো?
আমাদের অজানা অনুভূতির চাওয়াটাই হচ্ছে গান । প্রতিদিন হাজারো ভিড় আর কোলাহলের দূষণের মাঝে আমরা প্রায়ই সুরেলা কিছু ধ্বনি শুনবার ইচ্ছে পোষণ করি এবং সেটা আমাদের অবচেতন মন থেকেই হয় । আমরা কখনই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের মত দিনে তিন বেলা বা দুই বেলা নিয়ম করে গানের ট্যাবলেটটা গিলে ফেলি না। চট করে ঝেঁকে ধরা কোনো একটা অব্যাক্ত অনুভূতির মায়ায় আমরা গান শুনতে পছন্দ করি । আমরা চোখ খুলে বসে থাকলে আমাদের মাথায় হাজারটা চিন্তা কাজ করে, আবার চোখ বন্ধ করলেও হাজারটা চিন্তা কাজ করে। ধরুন আপনি এখন ছোটবেলার কোনো স্মৃতি নিয়ে চিন্তা করছেন। সুন্দর কিংবা তিক্ত সেই স্মৃতিটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে হুট করেই আপনার একটা গানের লাইন মনে পরে যাবে। কিংবা সুর। যেটা আপনার অই স্মৃতির সাথে বেশ মিলে যায়। আপনার অবচেতন মন সেই গানটা শুনতে মরিয়া হয়ে উঠবে এবার। আপনি সেই গানের প্রয়োজনবোধ করবেন।
“মুড” নামের জিনিসটার সাথে আমরা পরিচিত। এই মুডটা যেমন গানের ওপর প্রভাব ফেলে তেমনি গানও মুডের উপর প্রভাব ফেলে। যখন মাদের মন ভালো থাকে, আমরা পজিটিভ মিউজিক শুনতে পছন্দ করি। সোজা বাংলায় – “ঝাঁকা নাকা!” ঝাঁকা নাকা না হলেও সেই ধরনের গান যেগুলো শুনলে মন ভাল থাকে। কিন্তু মন খারাপের বেলায় আমরা খুবই গম্ভীর আর ভারী লিরিকে ভরপুর গাব শুনতে পছন্দ করি। যদিও তখন মন খারাপ, কিন্তু পছন্দটা এমনই -“হোক না আরেকটু মন খারাপ!” আমরা তখন চাই না মন ভালো করতে। ওই সময়গুলোতে আমাদের চিন্তা ভাবনাও গভীর ভাবেকাজ করে। সাধারণ ভাবে আমরা আমাদের মস্তিস্ককে যেভাবে কাজ করাই, তখন জিনিষটাতে কিছু ব্যতিক্রম ঘটে। অনেকখানিই ভিন্নভাবে আমরা জিনিসগুলোকে বুঝতে চেষ্টা করি তখন।
আমাদের অজানা অনুভূতির চাওয়াটাই হচ্ছে গান । প্রতিদিন হাজারো ভিড় আর কোলাহলের দূষণের মাঝে আমরা প্রায়ই সুরেলা কিছু ধ্বনি শুনবার ইচ্ছে পোষণ করি এবং সেটা আমাদের অবচেতন মন থেকেই হয় । আমরা কখনই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনের মত দিনে তিন বেলা বা দুই বেলা নিয়ম করে গানের ট্যাবলেটটা গিলে ফেলি না। চট করে ঝেঁকে ধরা কোনো একটা অব্যাক্ত অনুভূতির মায়ায় আমরা গান শুনতে পছন্দ করি । আমরা চোখ খুলে বসে থাকলে আমাদের মাথায় হাজারটা চিন্তা কাজ করে, আবার চোখ বন্ধ করলেও হাজারটা চিন্তা কাজ করে। ধরুন আপনি এখন ছোটবেলার কোনো স্মৃতি নিয়ে চিন্তা করছেন। সুন্দর কিংবা তিক্ত সেই স্মৃতিটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে হুট করেই আপনার একটা গানের লাইন মনে পরে যাবে। কিংবা সুর। যেটা আপনার অই স্মৃতির সাথে বেশ মিলে যায়। আপনার অবচেতন মন সেই গানটা শুনতে মরিয়া হয়ে উঠবে এবার। আপনি সেই গানের প্রয়োজনবোধ করবেন।
“মুড” নামের জিনিসটার সাথে আমরা পরিচিত। এই মুডটা যেমন গানের ওপর প্রভাব ফেলে তেমনি গানও মুডের উপর প্রভাব ফেলে। যখন মাদের মন ভালো থাকে, আমরা পজিটিভ মিউজিক শুনতে পছন্দ করি। সোজা বাংলায় – “ঝাঁকা নাকা!” ঝাঁকা নাকা না হলেও সেই ধরনের গান যেগুলো শুনলে মন ভাল থাকে। কিন্তু মন খারাপের বেলায় আমরা খুবই গম্ভীর আর ভারী লিরিকে ভরপুর গাব শুনতে পছন্দ করি। যদিও তখন মন খারাপ, কিন্তু পছন্দটা এমনই -“হোক না আরেকটু মন খারাপ!” আমরা তখন চাই না মন ভালো করতে। ওই সময়গুলোতে আমাদের চিন্তা ভাবনাও গভীর ভাবেকাজ করে। সাধারণ ভাবে আমরা আমাদের মস্তিস্ককে যেভাবে কাজ করাই, তখন জিনিষটাতে কিছু ব্যতিক্রম ঘটে। অনেকখানিই ভিন্নভাবে আমরা জিনিসগুলোকে বুঝতে চেষ্টা করি তখন।

গান কি আমাদের পরিবর্তন আনতে পারে?
উত্তরটা হচ্ছে – হ্যাঁ পারে। ৪/৫ মিনিটের একটা গান যদি আমাদের চিন্তায় পরিবর্তন আনতে পারে তাহলে আমাদেরকে পুরোপুরি না হলেও অনেকখানি পরিবর্তন করতে পারে। গুরুতর ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকা কেউ যদি প্রতিনিয়ত ব্যর্থতা আর দুখী শব্দে ভরা গান শুনতে থাকে, তার জীবনে আর কখনো আশার আলো উদিত হবে না। কারণ সে নিজে ওই ধরনের বাক্যে নিজের জীবনের প্রতিবিম্ব খুঁজে পায় আর সেটাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে। আর যার বিশ্বাস একবার পালটে যায়, তার জীবনের গড়ন পালটে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছুই নয়।
একটা গানের লিরিক একেকটা জীবনের ছায়া। গানের রচয়িতা তার নিজের কিংবা সমাজে আশেপাশে তার দেখা ঘটনার খুঁটিনাটি চুম্বকাংশ গানে লিখে ফেলে। আমরা যখন সেই লিরিকে কান পাতি আর আমাদের মনে হয়-“আরে! এটা তো হুবহু আমার জীবনের কাহিনীর মত!” আমরা সে গানের প্রেমে পড়ে যাই। আবার সেই অনুভুতির প্রয়োজনে বারবার শুনতে থাকি।
উত্তরটা হচ্ছে – হ্যাঁ পারে। ৪/৫ মিনিটের একটা গান যদি আমাদের চিন্তায় পরিবর্তন আনতে পারে তাহলে আমাদেরকে পুরোপুরি না হলেও অনেকখানি পরিবর্তন করতে পারে। গুরুতর ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকা কেউ যদি প্রতিনিয়ত ব্যর্থতা আর দুখী শব্দে ভরা গান শুনতে থাকে, তার জীবনে আর কখনো আশার আলো উদিত হবে না। কারণ সে নিজে ওই ধরনের বাক্যে নিজের জীবনের প্রতিবিম্ব খুঁজে পায় আর সেটাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে। আর যার বিশ্বাস একবার পালটে যায়, তার জীবনের গড়ন পালটে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছুই নয়।
একটা গানের লিরিক একেকটা জীবনের ছায়া। গানের রচয়িতা তার নিজের কিংবা সমাজে আশেপাশে তার দেখা ঘটনার খুঁটিনাটি চুম্বকাংশ গানে লিখে ফেলে। আমরা যখন সেই লিরিকে কান পাতি আর আমাদের মনে হয়-“আরে! এটা তো হুবহু আমার জীবনের কাহিনীর মত!” আমরা সে গানের প্রেমে পড়ে যাই। আবার সেই অনুভুতির প্রয়োজনে বারবার শুনতে থাকি।
আমরা আমাদের অনুভুতির দাস। ঐ জায়গাটাতেই আমরা আটকে পড়ে যাই। মন ভালো করার জন্যেই হোক আর ক্লান্তি-অবসাদ মুছে ফেলার জন্যেই হোক, গান হলো বিনামূল্যে পাওয়া পথ্য। যেটা ক্ষনিকের মাঝেই ট্রিগারের মত কাজ করে। তবে কাজের ধরনটা ভিন্ন ভিন্ন হয়। মুড ভালো থেকে আরো ভালো হয়ে যায় অথবা ভালো থেকে খারাপ অথবা খারাপ থেকে আরো খারাপ। কিন্ত আপনি বুঝতে পারবেন, গানের প্রকৃত যাদুটা তখন কাজ করবে যখন আপনার মন অনেক খারাপ থেকে অনেক ভালো হয়ে যাবে! অনুভুতিকে তৃপ্ত করতেই এই এলোমেলো শব্দের সাজানো রুপটাই গান।
যে ব্যাক্তির গানের অনুভুতি কাজ করে না, বুঝতে হবে সে ব্যাক্তির অনুভূতি মরে গেছে কিংবা কখনো জন্মেনি! আর এই ভাষাটা তখন তার কাছে নিরর্থক।
যে ব্যাক্তির গানের অনুভুতি কাজ করে না, বুঝতে হবে সে ব্যাক্তির অনুভূতি মরে গেছে কিংবা কখনো জন্মেনি! আর এই ভাষাটা তখন তার কাছে নিরর্থক।
Student at Bangladesh University of Professionals
আমি মো: রাকিবুল হাসান। ডাক নাম তুষার। তুষারের মত শুভ্র না হলেও শুভ্রতা বেশ ভালো লাগে। তাই প্রকৃতির বেড়াজাল পেরিয়ে সেই শুভ্রতা খুঁজতে থাকা একটু এলোমেলো একজন আমি।
0
0
votes
Article Rating