দ্রুত শেখার উপায়ঃ ফাইনমেন টেকনিক

“The first principle is that you must not fool yourself and you are the easiest person to fool.”

“দ্রুত কোন কিছু শিখব কিভাবে?”

শিক্ষার্থীদের নিকট খুবই কমন এবং বিখ্যাত প্রশ্ন। কিভাবে কোন কিছু খুব দ্রুত আয়ত্তে আনা যায়? “ত্রিকোনমিতি ১০ দিন করলেই হবে না?” “বলবিদ্যা ২০ দিনেই হয়ে যাবে না?” শিখার জন্য নির্দিষ্ট টাইমলাইন ঠিক করে নেয়াটা বেশির ভাগ সময় সবার কাজে দেয় না, কারণ এক এক জনের শেখার গতি এক এক রকম। তবে ঘাটাঘাটি করে দেখলাম, একটা পদ্ধতি আছে দ্রুত শেখার। পদ্ধতিটা আমরা কম-বেশি সবাই জানি, শুধু জানি না এর একটা সুন্দর নাম আছে- ফাইনমেন টেকনিক

বিজ্ঞানীরা এমনিতেই কিংবদন্তি হন, কিন্তু কিঙ্গবদন্তি সব বিজ্ঞানীদের মধ্যেও ছাপিয়ে গেছেন যিনি, তিনি হলেন বিখ্যাত নোবেল প্রাইজ জয়ী পদার্থবিদ রিচারড ফাইনমেন

অন্য বিজ্ঞানীদের সাথে ফাইনমেন এর পার্থক্য এখানেই যে- উনি বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলোকে খুব সহজে আর মজার ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারতেন।
ফাইনমেনকে নিয়ে লিখতে গেলে আসলে আলাদা একটা আর্টিকেল লিখে ফেলা যায়।

Mr Feynman

ফাইনমেন নিজে যেমন বুঝতেন, অন্যকে খুব সহজে বুঝাতেও পারতেন। আর জানতেন কিভাবে কিছু শিখতে হয়। এক বার তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যেকোন জিনিস ছাত্ররা কিভাবে তাড়াতাড়ি এবং সুন্দরভাবে শিখতে পারবে। এর উত্তরে তিনি যা বলেছিলেন সেটিকেই আমরা ফাইনমেন টেকনিক বলি।

তাহলে ফাইনমেন টেকনিক টা কি?

ফাইনমেনের মতে, তুমি যত সহজে এবং সাবলীলভাবে একটি জিনিস ব্যাখ্যা করতে পারবে, তার মানে তুমি বিষয়টি আসলেই তত ভালোভাবে বুঝেছো।

The Feynman Technique

যেকোন কিছু পড়ার পর সেটা কাউকে বোঝানোর চেষ্টা কর। কেউ যদি না থাকে তাহলে কল্পনা করে নাও যে তোমার সামনে ৮ বছরের একটা বাচ্চা বসে আছে; এবং ধর তুমি এখন তাকে প্রোবাবিলিটি বুঝাবে। একটা ৮ বছরের বাচ্চাকে তুমি কিভাবে বুঝাবে? অবশ্যই খুব সহজ ভাবে, অনেক উদাহরণ দিয়ে, এমনভাবে যাতে সে ব্যাপারটা ধরতে পারে।এটাই হল ফাইনমেন টেকনিক। আসলে ব্যাপারটা হল, অন্যকে বুঝাতে গিয়ে আমরা নিজেদের কমতিটা বুঝব, টপিকের কোন জায়গাটা নিজের কাছে অস্পষ্ট তা ধরতে পারবো এবং সেটা নিয়ে আরেকটু পড়ালেখা করতে পারবো। তাই এখন থেকে যেকোন টপিক পড়লে, সেটা অন্যকে বুঝাও। একটা খাতা নাও, ধরে নাও তোমার সামনে একজন বসে আছে যে টপিকটা নিয়ে কিছুই জানে না। কলম নিয়ে লিখে লিখে তাকে বুঝাও। দেখবে, অনেক জায়গায় তোমার নিজের ঘাটতি আছে। কোথায় ঘাটতি সেটা বের কর। বই খুলে আবার সে অংশটা পড়। না পড়ে বুঝলে এবার বন্ধু বা টিচারকে জিজ্ঞেস করে জেনে নাও।

আর ইন্টারনেট তো আছেই!

বহুব্রীহি ওয়েবসাইট আর ব্লগও আছে পাশে। 😀

শেয়ার করুন

Leave a Comment