ডিজিটাল মার্কেটিং করে নিজের ওয়েবসাইট থেকে আয়

নিজের ওয়েবসাইট বানিয়ে আয় কেমন?

নিজস্ব ওয়েবসাইট বানানোর প্রথম ৩ – ৬ মাসে কয়েকশো টাকা থেকে কয়েক হাজার টাকা মাসিক আয় হতে পারে আপনার। ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা আর ভিজিটর কোয়ালিটি ভালো হলে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।

একটা উদাহরণ দেখা যাক। ওয়েবসাইট থেকে আয় করার জন্য Google AdSense পাবলিশারদের মধ্যে জনপ্রিয়। ভিজিটর সংখ্যা, লোকেশন আর কন্টেন্ট ক্যাটাগরির ভিত্তিতে আপনার সম্ভাব্য ইনকাম কত, সেটার ধারণা দেবার জন্য অ্যাড নেটওয়ার্কটির একটি ক্যালকুলেটর রয়েছে।

ধরে নিলাম, আপনি বাংলাদেশি কাস্টমারদের জন্য গেমিংয়ের উপর বাংলা কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন আপনার সাইটে। এক্ষেত্রে মাসে গড় পেইজ ভিউ ৫০,০০০ হলে পুরো বছরে আপনার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ইনকাম হবে ৩৪৮০ ডলার। অর্থাৎ, মাসে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ইনকাম ২৯০ ডলার।

বাস্তবতা হলো, বাংলা কন্টেন্টের জন্য আপনি ক্যালকুলেটরে দেখানো ইনকামের ধারেকাছেও যেতে পারবেন না। তাই শুরুতেই ইনকামের আশা কম রাখুন। অবশ্য এটা শুধু বাংলা কন্টেন্টের বেলায় ঘটে না। ইংরেজি কন্টেন্টের ক্ষেত্রেও ইনকামের অনুমান করা কঠিন। এ কারণে Google AdSense যে ফ্যাক্টরগুলো উল্লেখ করে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • কন্টেন্ট ক্যাটাগরি
  • ভিজিটরের লোকেশন
  • অ্যাডভার্টাইজারের ডিমান্ড
  • ভিজিটরের ডিভাইস
  • কন্টেন্টের স্ট্রাকচার (Google-এর ভাষায় “Content Vertical”)
  • সিজনালিটি (Seasonality)
  • অ্যাডের সাইজ
  • কারেন্সি এক্সচেইঞ্জ রেট (Currency Exchange Rate)

নিজের ওয়েবসাইট থেকে কীভাবে আয় করবেন?

নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে মূলত ৪টি উপায়ে আয় করতে পারবেন:

  • অ্যাড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  • অ্যাড স্পেস বিক্রি করে
  • ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে
অ্যাড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে

আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর আসা শুরু করলেই অ্যাড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইনকাম বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে ভালো কোনো অ্যাড নেটওয়ার্কে সাইন-আপ করুন (যেমন, Google AdSense)। এরপর কোন ধরনের অ্যাড আপনার ওয়েবসাইটে দেখাবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন। অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকে দেয়া কোড ওয়েবসাইটে ব্যবহার করলে ভিজিটরদের কাছে অ্যাড দেখানো শুরু হবে।

আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাড দেখা গেলেই যে সেখান থেকে ইনকাম আসবে, ব্যাপারটা তেমন নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিজিটরদের ক্লিকও দরকার হবে। অর্থাৎ, আপনাকে যত বেশি সম্ভব ভিজিটর নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। আবার ভিজিটররা কোন দেশ বা জায়গা থেকে আসছেন, সেটাও ইনকামে প্রভাব ফেলবে। যেমন, বাংলাদেশের ৫ জন ওয়েবসাইট ভিজিটরের ৫টি ক্লিকের জন্য আপনি যে টাকা পাবেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১ জন ওয়েবসাইট ভিজিটরের ১টি ক্লিকের জন্য হয়তো ইনকাম তার চেয়েও বেশি হবে। কারণটা হলো, উন্নত দেশের কাস্টমাররা অনলাইনে কেনাকাটা বেশি করেন বলে তাদের জন্য অ্যাডভার্টাইজাররা অ্যাড নেটওয়ার্কগুলোতে বেশি খরচ করে।

অ্যাড স্পেস বিক্রি করে

অ্যাড নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করার একটা সমস্যা হলো, অ্যাড লিংকে ভিজিটরদের ক্লিক সংখ্যা কম হলে আপনার আয় কম হবে। অর্থাৎ, ক্লিক কম পড়লে প্রতি মাসে ৫০,০০০ ভিজিটর এনেও খুব একটা লাভ হবে না।

শুধু ভিজিটর সংখ্যার ভিত্তিতে ভালো ইনকাম নিশ্চিত করার জন্য অনেকে নিজেদের সাইটের স্পেস বিক্রি করেন কোম্পানি ও ব্র্যান্ডগুলোর কাছে। যেমন, প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে এ ধরনের অ্যাড প্লেসমেন্ট দেখা যায়।

অ্যাড স্পেস বিক্রির জন্য আপনাকে প্রথম আলোর মতো বড় পাবলিশার হতে হবে না। কিন্তু আপনার সাইটে মাসে কমপক্ষে ৩০,০০০ – ৫০,০০০ ভিজিটর না আসলে অ্যাড স্পেস বিক্রি করা কঠিন হয়ে যাবে।

অ্যাড স্পেস বিক্রি করার সুবিধা হলো:

  • অ্যাডে কম ক্লিক পড়লেও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ইনকাম করা যায়
  • অ্যাড স্পেসের সাইজ ও দাম আপনিই ঠিক করতে পারবেন
  • অ্যাড স্পেস বিক্রির ইনকাম পুরোটাই আপনার হবে

অ্যাড স্পেস থেকে ইনকাম করার অসুবিধা হলো:

  • আপনাকে নিজে থেকে কোম্পানি ও ব্র্যান্ডগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে হবে
  • আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ভালো না হলে অধিকাংশ কোম্পানি ও ব্র্যান্ড অ্যাড প্লেসমেন্টে আগ্রহী না হবার সম্ভাবনা বেশি
  • অ্যাড স্পেসের দাম নিয়ে কোম্পানি ও ব্র্যান্ডগুলোর সাথে আলোচনা করতে হবে
  • অ্যাড ম্যানেজমেন্টের পুরো দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে

আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ক্যাটাগরি যদি নির্দিষ্ট হয়, তাহলে সেটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য উপযুক্ত হবে। এ উপায়ে আয় করার জন্য:

  • মার্কেট রিসার্চ করে লাভজনক কন্টেন্ট ক্যাটাগরি বেছে নিন
  • আপনার বাছাই করা কন্টেন্ট ক্যাটাগরির উপর নিয়মিত কন্টেন্ট ওয়েবসাইটে পাবলিশ করুন
  • ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়লে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে ফেলুন
  • আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কন্টেন্টে অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করুন

যেসব কন্টেন্ট ক্যাটাগরিতে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সংখ্যা বেশি, সেসব কন্টেন্ট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বেশি লাভজনক। যেমন:

  • টেকনোলজি
  • ভ্রমণ
  • ফ্যাশন
  • রান্নাবান্না ও খাবার
  • ফাইন্যান্স
  • স্বাস্থ্য
  • শিক্ষা
  • গেমিং
  • ব্যবসা ও মার্কেটিং

কন্টেন্ট ক্যাটাগরি ঠিক করার আগে আপনাকে অবশ্য প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সংখ্যার বাইরেও আরো কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যেমন:

  • যে লাভজনক কন্টেন্ট ক্যাটাগরিতে আপনি ফোকাস করতে চাইছেন, সে ক্যাটাগরিতে কেমন কন্টেন্ট ইতোমধ্যে অনলাইনে রয়েছে?
  • যে ক্যাটাগরির কন্টেন্ট আপনি বানাতে চাইছেন, সে ক্যাটাগরি নিয়ে আপনি কতটুকু জানেন?
  • কন্টেন্ট বানানোর জন্য আপনাকে কতটুকু রিসার্চ করতে হবে?
  • কন্টেন্ট বানাতে আপনার কেমন খরচ বা রিসোর্স দরকার হবে?

নামকরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে যত্রতত্র অ্যাকাউন্ট বানানো সম্ভব নয়। এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে আপনাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক কন্টেন্ট আর ভিজিটর চায় এসব প্ল্যাটফর্ম। তাই অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট বানানোর আগেই আপনার সাইটের নিয়মিত ভিজিটর থাকা দরকার।

একেক ধরনের কন্টেন্ট ক্যাটাগরির জন্য একেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ভালো। তাই আপনাকেই রিসার্চ করে দেখতে হবে কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনার ইনকাম হবার সম্ভাবনা বেশি। জনপ্রিয় কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে রয়েছে:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোর বাইরে বহু কোম্পানি ও ব্র্যান্ড নিজস্ব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম চালায়। এগুলোতেও সরাসরি অ্যাপ্লাই করা সম্ভব। যেমন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরিতে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন আর হোস্টিংয়ের উপর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সুযোগ বেশি। আবার আপনি যদি ভ্রমণ সংক্রান্ত কন্টেন্ট নিয়ে লিখতে চান, তাহলে Booking.com-এর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনার ইনকামের জন্য ভালো অপশন হতে পারে।

কোনো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে সাইন-আপ করার আগে আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে রিসার্চ করুন। যেমন:

  • অ্যাফিলিয়েট লিংক কীভাবে কাজ করে
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আপনি কতটুকু সেলস কমিশন পাচ্ছেন
  • ইনকাম করা কমিশন কত দিন পর আপনি পুরোপুরি তুলতে পারবেন
  • ইনকাম করা কমিশন কীভাবে আপনার কাছে পৌঁছাবে

অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে কমিশন দেয়া হয় PayPal-এর মাধ্যমে। অথচ আমাদের দেশ থেকে আপনি PayPal অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না। অর্থাৎ, পেমেন্ট নিয়ে ঝামেলায় পড়বেন।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে

নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে খুব ভালো ইনকাম করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে আপনার কাজ শুধু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে না। পুরো একটি ব্যবসা চালানোর প্রস্তুতি লাগবে আপনার। অর্থাৎ, আপনার ইনকামের সম্ভাবনা নির্ভর করবে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেট ডিমান্ড, কোয়ালিটি, দাম, কাস্টমার সাপোর্টসহ বহু বিষয়ের উপর। এ কারণে অধিকাংশ বিগিনারের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।

আপনার ওয়েবসাইটে কোন ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করবেন, সে সিদ্ধান্ত আপনিই নেবেন। যেমন:

  • ফ্রিল্যান্সিং বা কনসাল্টিং সার্ভিস
  • ইবুক
  • ওয়ার্ক টেমপ্লেট
  • ওয়েবসাইট টেমপ্লেট বা থিম ও প্লাগইন
  • ডিজাইন টেমপ্লেট
  • অনলাইন কোর্স
  • অনলাইন সেমিনার

নিজের ওয়েবসাইট কীভাবে বানাবেন?

সহজে ওয়েবসাইট বানানোর জন্য এখন অনলাইনে বহু টুল পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করতে আপনার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জানার কোনো প্রয়োজন নেই। কিছু বেসিক বিষয় জানা থাকলে আর টুলগুলোর ডকুমেন্টেশন ঠিকভাবে ফলো করলে আপনিও স্ট্যান্ডার্ড একটি কন্টেন্ট ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন, যেখান থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

ওয়েবসাইট বানাতে আপনার দরকার হবে:

  • ডোমেইনের নাম
  • হোস্টিং সার্ভিস
  • কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
  • ওয়েবসাইটের থিম বা টেমপ্লেট
  • ওয়েবসাইটের প্লাগইন বা সফটওয়্যার

ডোমেইনের নাম আর হোস্টিং সার্ভিসে কিছু খরচ থাকে বলে অনেকে একেবারে ফ্রি টুল খোঁজেন। যেমন:

  • Blogger
  • Wix-এর ফ্রি ভার্সন
  • Weebly-এর ফ্রি ভার্সন

সম্পূর্ণ ফ্রি এ টুলগুলো হয়তো ওয়েব ডিজাইনের বেসিকস নিয়ে আপনাকে আইডিয়া দেবে। কিন্তু ভালো আয় করার জন্য এসব টুল তেমন সাহায্য করবে না। Blogger প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করতে পারলেও ডিজাইনের অপশন সীমিত।

নিজস্ব ওয়েবসাইট চালানোর জন্য যে খরচ হয়, সেটাকে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল আর ভবিষ্যৎ ইনকামের উপর একটা বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচনা করুন।

ডোমেইনের নাম

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি নাম ঠিক করে সেটির জন্য ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করুন।

.com ডোমেইন সবচেয়ে জনপ্রিয়। তাই আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন ভার্সন .com হলে ভালো।

ডোমেইনের জন্য বছরে আপনার খরচ হবে ৬০০ – ১৫০০ টাকা। উল্লেখ্য যে, .com.bd ভার্সনের বেলায় আপনাকে আলাদাভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বিটিসিএলের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি .com.bd ভার্সনের ডোমেইন অর্ডার করতে পারবেন। তবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হতে ২ – ৩ দিন সময় লাগবে।

হোস্টিং সার্ভিস

আপনার ওয়েবসাইটের যাবতীয় কোড, ফাইল, ফোল্ডার আর ডেটাবেইজের জন্য সার্ভারের প্রয়োজন। হোস্টিং সার্ভিসগুলোর কাছে আপনি এমন সার্ভার পাবেন।

হোস্টিং সার্ভিসের জন্য মাসে বা বছরে আপনার কত খরচ হবে, তা বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। যেমন:

  • কোন ধরনের সফটওয়্যার বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দিয়ে আপনি ওয়েবসাইট বানাচ্ছেন
  • ওয়েবসাইটে কোন ধরনের কন্টেন্ট আপলোড করছেন
  • ওয়েবসাইট কন্টেন্টের সাইজ
  • ওয়েবসাইট ভিজিটরের সংখ্যা

অর্থাৎ, আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি কন্টেন্ট থাকবে বা ভিজিটরের সংখ্যা যত বাড়বে, খরচও সে অনুযায়ী বাড়বে। শুরুর দিকে অবশ্য মাসে কয়েকশো টাকা দিয়েই ওয়েবসাইট চালাতে পারবেন।

কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Content Management System) মূলত আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট আপলোড, পাবলিশিং আর আপডেটের কাজকে সহজ করে দেয়।

কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress.org) সবচেয়ে ভালো অপশন। এর সুবিধা হলো, এটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। আবার সারা বিশ্বে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে আপনার ওয়েবসাইট বানানোর জন্য অনলাইনে প্রচুর টিউটোরিয়াল আর সাপোর্ট পাবেন। এমনকি ১ দিনের মধ্যে একটি ফাংশনাল ওয়েবসাইট বানানো সম্ভব ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে!

জনপ্রিয় আরো ২টি ফ্রি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলো:

প্রিমিয়াম ওয়েবসাইট বিল্ডার দিয়ে ওয়েবসাইট বানানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন:

  • Squarespace (যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য)
  • Wix-এর প্রিমিয়াম ভার্সন (যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য)
  • Weebly-এর প্রিমিয়াম ভার্সন (যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য)
  • Shopify (ইকমার্স সাইটের জন্য)
ওয়েবসাইটের থিম বা টেমপ্লেট

কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসাবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইনের জন্য দরকার হবে থিম (Theme)। ওয়ার্ডপ্রেসের থিম ডিরেক্টরি থেকেই পছন্দ অনুযায়ী ফ্রি থিম সরাসরি ইন্সটল করতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেসের প্রিমিয়াম থিম আর প্লাগইনও রয়েছে অনেক। তবে শুরুতে থিম আর প্লাগইনের জন্য কোনো খরচ করার দরকার হয় না সাধারণত।

ওয়েবসাইটের প্লাগইন বা সফটওয়্যার

প্রতিটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে কিছু বেসিক ফিচার থাকে। যেমন, ওয়ার্ডপ্রেসে সহজে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করা যায়।

আপনার ওয়েবসাইটকে ডায়নামিক করার জন্য স্পেশাল কিছু ফিচার দরকার হতে পারে। যেমন, আপনি হয়তো ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য ভিজিটরদের ইমেইল সংগ্রহ করতে চান। এক্ষেত্রে আপনাকে কাস্টম প্লাগইন ব্যবহার করতে হবে।

শেয়ার করুন

1 thought on “ডিজিটাল মার্কেটিং করে নিজের ওয়েবসাইট থেকে আয়”

  1. ভাইয়া আমি অনলাইন ইনকাম করতে চাই, কিন্তু কেমনে করবো বুঝতে পারতাছি না

    Reply

Leave a Comment