মেসেঞ্জার চ্যাটবট এবং ব্যবসায় এর ভূমিকা

সহজ কথায় চ্যাটবট হচ্ছে একপ্রকার সফটওয়্যার যা অনলাইনে একজন মানুষের মতই আপনার সঙ্গে কথোপকথন চালাতে সম্ভব চ্যাটবট সাধারণত কথোপকথন টেক্সট কিংবা টেক্সট টু স্পিচের মাধ্যমে চালিয়ে থাকে।

চ্যাটবট কীভাবে কাজ করে?

ধরুন, আপনি কোন একটি ওয়েবসাইটে ঢুকবার পর বেশ বিব্রত। নানান রকম অপশনের ভিড়ে আপনি যে তথ্য খুঁজছেন সেটাই হয়ত পাচ্ছেন না। ঠিক তখন ওয়েবসাইটে চ্যাটবট থাকলে খেয়াল করবেন যে আপনাকে টেক্সটের মাধ্যমে জিজ্ঞেস করছে, এটি কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে? তখন আপনি যদি আপনার জিজ্ঞাসা জানান, খুব সহজেই চ্যাটবট সেটি খুঁজে আপনার সামনে এনে দিবে। দারুণ না? এর সুবিধা হচ্ছে, যারা ওয়েবসাইট ভিজিটর তারা খুব সহজেই তাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্য খুঁজে পাচ্ছে। অন্যদিকে ওয়েবসাইটটি যদি আপনার হয়, এ কাজে আপনার বাড়তি একজন মানুষকে নিযুক্ত করতে হচ্ছে না। মূল্যবান সময় এবং অর্থ দুটোই বেঁচে যাচ্ছে।

চ্যাটবট সাধারণত সার্চের ফলাফল ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসর, জিজ্ঞেস করা শব্দের মাধ্যমে ডাটাবেজ থেকে তথ্য উপস্থাপন করে থাকে। চ্যাটবটের ব্যবহার এখন বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। সবথেকে আশাব্যঞ্জক ব্যাপার হচ্ছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ফলে চ্যাটবট এখন নিজে থেকেই অনেক কিছু শিখে নিতে সম্ভব। বর্তমানে সকল ব্যবসা অনলাইনমুখী হচ্ছে। আপনার ব্যবসার ডিজিটাল উপস্থিতি কাস্টমারদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে। বাংলাদেশে বর্তমানে বাংলা এবং ইংলিশের পাশাপাশি কাস্টমারদের সুবিধার্থে বাংলা-ইংলিশ মিশ্রিত ভাষা বুঝতে সক্ষম চ্যাটবটও বাজারে রয়েছে (যেমন- EZAssist)। 

ONLINE COURSE

Building A Messenger Chatbot for Your Business with EZAssist

Learn how to create and train a chatbot to answer your customer queries on Facebook; without a single line of coding!

চ্যাটবট ও ব্যবসায় এর ভূমিকা

তথ্যানুসারে ৮৫ শতাংশ কাস্টমার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত হবে কোন মানবিক প্রতিক্রিয়া ছাড়াই – ৪৪ শতাংশেরও বেশি কার্যনির্বাহী মনে করেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সম্বলিত চ্যাটবটের সুবিধা হচ্ছে অটোমেটেড যোগাযোগ ও তথ্য সংগ্রহ যা ব্যবসায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে। এ থেকেই খুব সহজে বোঝা যাচ্ছে, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে চ্যাটবট কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ভবিষ্যতে কতটা অপরিহার্য ভূমিকায় থাকতে যাচ্ছে এটি।

পূর্বে চ্যাটবটের কাজ কেবল কাস্টমারের সামনে তথ্য উপস্থাপন ও বাঁধাধরা কথোপকথনেই সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে চ্যাটবটের কাজ কেবল এসবে সীমাবদ্ধ নেই। এখন কথোপকথন, তথ্য উপস্থাপন ছাড়াও কাস্টমারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, অর্ডার নেয়া, ব্যবসার সার্বিক অবস্থার বিশ্লেষণ পর্যন্ত করতে সক্ষম। এর ফলে কাস্টমারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়ে যায় অনেকাংশেই সহজ।

আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে চ্যাটবট ব্যবহার না করে আমি একজন মানুষ ব্যবহার না করে কেন চ্যাটবট ব্যবহার করব?

উত্তরটা বেশ সহজ। চ্যাটবট ২৪ ঘণ্টাই সেবা দিতে সক্ষম। আপনার মূল্যবান সময় এবং অর্থ দুটোই বাঁচাবে চ্যাটবট। আগে যেখানে আপনাকে কোন মানুষকে কেবল কাস্টমারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় একজনকে নিযুক্ত করতে হত, সেখানে চ্যাটবট উক্ত কাজগুলোর বাইরেও অনেক কিছু করতে সক্ষম। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ফলে এখন চ্যাটবট অনেক কিছুই শিখে নিতে ও সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ। ফেসবুক ভিত্তিক ব্যক্তিগত ও ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষেত্রে এটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, বাড়তি একজনকে নিযুক্ত করা ও তা বহন করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়ে ওঠে না।

চ্যাটবটকে সঠিকভাবে শিখিয়ে নিলে চ্যাটবট খুব সহজেই কাস্টমারদের পণ্য-সেবা ক্রয় ও গ্রহণে উৎসাহিত করবে। আপনার অনলাইন ব্যবসাকে এনে দেবে নতুন গতি ও এগিয়ে নেবে আরো একধাপ।

ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল দৃষ্টিভঙ্গি চ্যাটবট হোক আপনার নিত্যসঙ্গী।।

শেয়ার করুন

Leave a Comment