আমি কাজী তাসনিম ইসলাম, বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে Agricultural Economics & Rural Sociology নিয়ে ৪র্থ বর্ষে পড়াশোনা করছি। কিছুদিন আগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা প্রতিযোগিতায় ই-লার্নিং পার্টনার ছিল বহুব্রীহি, প্রতিযোগিতার পোস্টারিং থেকে বহুব্রীহি সম্পর্কে জানতে পারি। এছাড়া একসময় বহুব্রীহির পাওয়ারপয়েন্ট কোর্সের একটা বিজ্ঞাপন আমার চোখে পড়ে। পাওয়ারপয়েন্ট নিয়ে আমার শেখার তাগিদ সেই ফার্স্ট ইয়ার থেকেই ছিল। একাডেমিক বিভিন্ন প্রজেক্ট এবং প্রেজেনটেশনে স্লাইড তৈরি করতে হতো আমাদের, পাওয়ারপয়েন্ট না পারায় কষ্ট হতো বেশ। বিভিন্ন ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে শেখার চেষ্টা করেছিলাম, বিভিন্ন কারণে পরে আর শেখা হয়ে ওঠেনি।
বহুব্রীহির ওয়েবসাইটে লেখা ছিল, এই কোর্স প্রফেশনালদের পাশাপাশি ছাত্রদেরও কাজে লাগবে। এছাড়া যখন যেভাবে ইচ্ছা কোর্স করা যাবে, ট্রেনিং সেন্টারে দৌড়ানো লাগবে না। মূলত এইসব মিলিয়েই কোর্সটা কেনার সিদ্ধান্ত নিই।
ইউটিউবে যে জিনিসটা মিস করতাম, বহুব্রীহিতে সেটা পেয়েছি — Engagement। আগে একটা জিনিস শেখা শুরু করলে কিছুদূর এগিয়ে এরপর আর শেখা হতো না, তাগিদটা থাকতো না। বহুব্রীহি কোনোভাবে সেই তাগিদটা সজাগ রেখেছিল। কিছুদিন কোর্স না করলে আমাকে ইমেইল করে রিমাইন্ডার দিতো কন্টিনিউ করার জন্য। সব মিলিয়ে আমি কোর্সটা কমপ্লিট করতে পারি এবং মোর ইম্পরট্যান্টলি, পাওয়ারপয়েন্ট সম্পর্কে অনেককিছু শিখতে পারি।
পাওয়ারপয়েন্ট কোর্স করার পর আমি ভার্সিটির পোস্টার প্রেজেনটেশনে পোস্টার তৈরি করেছিলাম পাওয়ারপয়েন্ট দিয়ে — বেশ প্রশংসিত হয়েছিলাম আমরা!! এছাড়া আরেকটি প্রেজেনটেশনের স্লাইড তৈরি করেছিলাম এই কোর্স করার পর– সেটিও ভালো হয়েছিল বেশ।
পাওয়ারপয়েন্ট শেষ করার পর আমি বহুব্রীহিতে পাইথন কোর্সেও এনরোল করেছি। আমাদের ভার্সিটিতে স্ট্যাটিসটিক্স নিয়ে কিছু কোর্স ছিল, যেখানে বেশ কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ আর টুলস শেখানো হত। তবে স্যার বলেছিলেন পাইথনটা বাইরে থেকে শিখে নিতে। এতদিন ভার্সিটির এক্সাম থাকায় কনটিনিউ করতে পারিনি, এখন শেষ করে ফেলবো এটিও.. 😀
