মাধ্যাকর্ষণ নিয়ে আমরা যখন নতুন নতুন জানতে শুরু করি তখন খুব স্বাভাবিক ভাবেই বেশ কিছু মজার মজার প্রশ্ন মাথায় উঁকি মারে। এরকমই কয়েকটি প্রশ্নের মাঝে অন্যতম একটি প্রশ্ন হলো-
“আচ্ছা ! স্পেসে কোনো কিছু লিখতে হলে কীভাবে লিখে? কলমের কালি উড়ে যায় না?”
ব্যাপারটা খুব মজার। সত্যিই স্পেসে সাধারণ কলম দিয়ে কিছু লিখা যায় না। কারণ জিরো গ্র্যাভিটি তে কলম কাজ করে না। তাছাড়া সেখানকার তামপাত্রার কারণেও সাধারণ কলমে লিখা অসম্ভব।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য নাসা উঠে পড়ে লেগে গেলো। তারা একটি কলম আবিষ্কারের জন্য দিনের পর দিন গবেষণা করেই গেলো। এর মাঝখানে স্পেসে কলমের বদলে পেন্সিলের ব্যাবহার শুরু হলো। অনেক ভাবলো এটি একটি চমতকার সমাধান। আপাতদৃষ্টিতে “পেন্সিল” ব্যাবহার করাকে সমস্যার সমাধান মনে করলেও আসলে তা হয়নি। কেননা বেশ কিছুক্ষেত্রে পেন্সিলের ভাংগা কার্বন স্পেসে নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাছাড়া পেন্সিল দাহ্য। তাই এটাকে পুরোপুরিভাবে ততদিনে মেনে নেয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে পল সি ফিশার নামক জৈনক ব্যাক্তি একটি যুগান্তকারী কলম আবিষ্কার করেন। বর্তমানে যে কলমটির নাম “ফিশার পেন” বা “স্পেস পেন”। এই কলমে চাপের কালি ব্যাবহার করা হয় যেটি দ্বারা উলটো অবস্থায়ও লেখা যায়। হিমশীতল কিংবা উচ্চতাপমাত্রায়ও কলমটি কার্যকর। শীতল অবস্থায় এর কালি নীল রঙ এর হয়ে থাকলেও উচ্চতাপমাত্রায় এটি সবুজ রঙ ধারণ করে।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য নাসা উঠে পড়ে লেগে গেলো। তারা একটি কলম আবিষ্কারের জন্য দিনের পর দিন গবেষণা করেই গেলো। এর মাঝখানে স্পেসে কলমের বদলে পেন্সিলের ব্যাবহার শুরু হলো। অনেক ভাবলো এটি একটি চমতকার সমাধান। আপাতদৃষ্টিতে “পেন্সিল” ব্যাবহার করাকে সমস্যার সমাধান মনে করলেও আসলে তা হয়নি। কেননা বেশ কিছুক্ষেত্রে পেন্সিলের ভাংগা কার্বন স্পেসে নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাছাড়া পেন্সিল দাহ্য। তাই এটাকে পুরোপুরিভাবে ততদিনে মেনে নেয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে পল সি ফিশার নামক জৈনক ব্যাক্তি একটি যুগান্তকারী কলম আবিষ্কার করেন। বর্তমানে যে কলমটির নাম “ফিশার পেন” বা “স্পেস পেন”। এই কলমে চাপের কালি ব্যাবহার করা হয় যেটি দ্বারা উলটো অবস্থায়ও লেখা যায়। হিমশীতল কিংবা উচ্চতাপমাত্রায়ও কলমটি কার্যকর। শীতল অবস্থায় এর কালি নীল রঙ এর হয়ে থাকলেও উচ্চতাপমাত্রায় এটি সবুজ রঙ ধারণ করে।

ফিশার কলম কালি প্রবাহিত হতে মাধ্যাকর্ষণের উপর নির্ভর করে না। কার্তুজ পরিবর্তে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৩৫ পাউন্ড নাইট্রোজেনের সঙ্গে চাপ প্রয়োগ করা হয়। কলম এর ডগা দুষ্প্রাপ্য ধাতু কার্বাইড বল চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কালি ছাড়ে। ফলে সাধারণভাবে আমরা যেভাবে কাগজে লিখি সেভাবেই স্পেসেও কলমটির সাহায্যে লিখা যায়।
১৯৬৮ সালে ফিশার এর কলমটির ব্যাবহারযোগ্যতা টের পেয়ে নাসা তাদের এপলো প্রোগ্রামের জন্যে ৪০০টি এন্টিগ্র্যাভিটি কলম নিতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১০০টি কলম ও ১০০টি কার্তুজ নেয়।
১৯৬৮ সালে ফিশার এর কলমটির ব্যাবহারযোগ্যতা টের পেয়ে নাসা তাদের এপলো প্রোগ্রামের জন্যে ৪০০টি এন্টিগ্র্যাভিটি কলম নিতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১০০টি কলম ও ১০০টি কার্তুজ নেয়।

আবিষ্কারের শুরুর দিকে কলমটি হালকা ভেজা কিংবা তৈলাক্ত কাগজে লিখতে সক্ষম থাকলেও বর্তমানে এটি আরো আধুনিকভাবে রুপায়িত। ফলে যেকোনো কাগজে যেকোনো অবস্থায় এটি লিখতে সক্ষম। তখনকার সময় ফিশার তার এই কলম আবিষ্কারের জন্য এক মিলিওন ডলার ব্যয় করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে আমরা কেউ যদি খুব শখ করে কলমটি কিনতে চাই, তাহলে আমাদের খরচ করতে হবে মাত্র ৩ বিলিওন ডলার!
নিচে ফিশার স্পেস পেন এর একটি কমার্শিয়াল এডভার্টাইজমেন্ট দেখানো হল-
Student at Bangladesh University of Professionals
আমি মো: রাকিবুল হাসান। ডাক নাম তুষার। তুষারের মত শুভ্র না হলেও শুভ্রতা বেশ ভালো লাগে। তাই প্রকৃতির বেড়াজাল পেরিয়ে সেই শুভ্রতা খুঁজতে থাকা একটু এলোমেলো একজন আমি।
0
0
votes
Article Rating