পড়ালেখার উৎকণ্ঠা কমাও ১০টি উপায়ে

পড়ার সময় মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কবলে পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। মানসিক চাপ যে শুধু লেখাপড়ার ক্ষতি করে তা নয়, এটি শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। উৎকণ্ঠা দূর করার অনেক উপায় আছে, আপাতত ১০টি সহজ উপায় শেয়ার করছি-

১. আলোকময় পরিবেশে থাকো

মানুষের স্বাস্থ্যকর এবং আনন্দময় জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট সূর্যালোক দরকার। অন্ধকার পরিবেশে বেশি সময় কাটালে নেগেটিভ চিন্তা, হতাশার পরিমাণ বাড়ে। তাই চেষ্টা কর আলোতে থাকতে- সেটা সূর্যালোকই হোক আর কৃত্রিম আলোই হোক।

২. ব্যায়াম কর

মস্তিষ্কের এন্ডরফিন, ডোপামিন এবং সেরাটোনিন ক্ষরণের জন্য ব্যায়াম খুবই উপযোগী। এই তিনটি হরমোন দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। সবচেয়ে সহজ উপায় হল নিয়মিত হাঁটা বা দৌড়ানো। সাঁতার কাঁটা যেতে পারে, তাতে হৃদয় সুস্থ-সবল থাকে।

৩. বেশি বেশি হাসো

এটা সবারই জানা যে হাস্যরস মানুষের দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে সহায়ক। তাই চেষ্টা কর এমন মানুষের সাথে সময় কাটাতে, যারা তোমার মনকে উৎফুল্ল রাখে। তাদের সাথে ৫-৬ মিনিটের আলাপচারিতা তোমার চিন্তা আর উদ্বিগ্নতা অনেক্টা কমিয়ে দিবে।

৪. উৎসাহমূলক লেকচার শোনো

দিনে অল্প কিছু সময় বিভিন্ন মোটিভেশনাল লেকচার বা ভিডিও দেখতে পারো। TED talk কিংবা বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষের সাক্ষাৎকার দেখলে মানসিক সাহস পাবে, যা খুবই জরুরী।

৫. দানশীলতা এবং সাহায্য করা বাড়িয়ে দাও

সুখী থাকার অন্যতম ভাল ও কার্যকর উপায় অন্যকে সাহায্য করা। যেমন ধর, তোমার কোন বন্ধুকে পড়ালেখায় বা যেকোনো কাজে সাহায্য করতে পারো। অন্তত বাসায় আম্মু আব্বুকে কাজে কর্মে সাহায্য করতে পারো। এটা মানুষের মাঝে ভাল সম্পর্ক তৈরির পাশাপাশি নিজের মানসিক উন্নতিতেও সহায়ক।
গরীব বা অর্থহীন মানুষকে যথাসম্ভব সাহায্য কর। দান করার পর তাদের এক চিলতে হাসি হয়তো তোমার অনেক দুশ্চিন্তা দূরে ঠেলে দেবে।

৬. পড়ার স্থান ঠিক কর

পড়ালেখার জন্য আলাদা জায়গা রাখো, সম্ভব হলে আলাদা রুম রাখতে পারো। আর অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় বেছে নাও। পড়ার জায়গায় যেন যথেষ্ট আলো থাকে আর কোলাহল মুক্ত হয়।

৭. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাও

দিনে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো মানসিক সুস্থতার জন্য খুবই দরকারি। নিদ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় পড়তে না বসাই ভাল। পড়ার সময় ঘুম আসলে হালকা একটা ঘুম দিয়ে উঠে তারপর পড়তে বসো। তাতে ব্রেইন ভালো কাজ করবে আর অল্প সময়ে অনেক বেশি পড়া পড়তে পারবে!

৮. পড়ার সঙ্গী

এমন কারো সাথে পড়ালেখা কর যে তোমার মনকে উৎফুল্ল রাখতে এবং বিভিন্ন দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। যদি কাউকে না পাও, তবে একাই পড়ালেখা কর, তবু নেগেটিভ চিন্তাধারী লোকদের থেকে দূরে থাকো।

৯. ক্ষুধা-পিপাসা মিটিয়ে পড়তে বস

ক্ষুধা-পিপাসা মিটিয়ে পড়তে বসলে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয় এবং দুশ্চিন্তা দূরে রাখতেও সহায়ক।

১০. আনন্দ ভাগ করে নাও

যে আনন্দ ভাগ করে নেয়া যায় না, সে আনন্দ ক্ষণস্থায়ী। চেষ্টা কর, নিজের আনন্দের মুহূর্তগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে। ধরো তোমার কাছে ২ টাকা আছে, আর হাতে ২টি অপশন আছে।
-২টাকায় ২টি চকোলেট কিনে একাই ২টি চকোলেট খাবে, অথবা
-২টি চকোলেটের একটি বন্ধুকে দিয়ে আরেকটা তুমি খাবে
সেক্ষেত্রে ২য় অপশন টা বেছে নিবে।

শেয়ার করুন

Leave a Comment