
আমাদের পাঠ্যপুস্তক বোর্ড মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাকে ক্রমাগত জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত এই বইগুলোর আকার ছোট করেই যাচ্ছে।
আগেকার সময়ের এই পাঠ্যপুস্তকগুলোতে থাকতো বইয়ের প্রত্যেকটি বিষয়ের উপর ২-৩ পৃষ্ঠা ধরে আলোচনা আর ৫-৬টা করে উদাহরণ। যেকোন ছাত্র শুধু মেইন বই পড়লেই পুরো টপিকটা ভালোভাবে বুঝতে পারতো, লাগতো না কোন অতিরিক্ত সাহায্যও। তার পরিবর্তে আমাদের আজকালকার এই চিকন চিকন “সৃজনশীল” পাঠ্যপুস্তকগুলোতে কোন বিষয় তো ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা থাকেই না, উল্টো লেখকরা বোর্ডের বেঁধে দেওয়া পৃষ্ঠার সীমার মধ্যে সব টপিক সংকুলান করতে গিয়ে বইগুলোকে অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্বোধ্য বানিয়ে ফেলেন। যেখানে ছাত্রদের সৃজনশীল চিন্তাকে বিকশিত করার জন্য প্রত্যেকটি টপিকের উপর বিভিন্ন রকম analysis আর উদাহরণ থাকা উচিত, সেখানে বরং টপিকটাই স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা থাকে না। এতে শিক্ষা তো সৃজনশীল হচ্ছেই না, বরং বাড়ছে confusion. এইরকম “সৃজনশীল” পাঠ্যপুস্তককে অবলম্বন করে আমাদের শিক্ষার্থীরা বেশিদূর যেতে পারবে বলে অন্ততঃ আমার মনে হয় না।
শিক্ষাকে প্রকৃত অর্থে সৃজনশীল করতে হলে বইগুলোকেও উপযোগী আর ব্যাখ্যামূলক করতে হবে। input যদি আমরা ভালো না দেই, তাহলে ভালো output আশা করাটা ঠিক হবে না।
- ভর্তি পরীক্ষার মৌসুমে মানসিক প্রস্তুতি - March 18, 2017
- ক্রমশ ছোট হয়ে আসা পাঠ্যপুস্তক… - March 18, 2017
- বেশি পড়ালেখা করলেই ‘আঁতেল’? - March 18, 2017