রাউটার কিভাবে কাজ করে?

এখনকার যুগে আমাদের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে গেছে। ইন্টারনেট ছাড়া এখন আমাদের জীবন অচল বলা যায়। এটা না থাকলে কেমন যেন অসহায় অসহায় লাগে। এই ইন্টারনেট আমাদের ঘরে ঘরে আনার সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ মাধ্যম হল ইন্টারনেট রাউটার। সারা বিশ্বে কখন কি হচ্ছে তা মুহুর্তেই জেনে যাচ্ছি আমরা। রাউটার কিভাবে আমাদের এই ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে তা জানব আজ আমরা। রাউটারের কাজ সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আগে জানতে হবে IP Address কি।

যে কোন আধুনিক ডিভাইসের সাথে অন্য একটি ডিভাইসের যোগাযোগের জন্য এই IP Address দরকার হয়। বিলিয়ন বিলিয়ন ডিভাইসের ভিতর থেকে একটি নির্দিষ্ট ডিভাইসকে খুঁজে পাওয়ার সবথেকে ভাল এবং কার্যকরী উপায় হল IP Address জানা। এখানে বলে রাখি যে, IP বলতে বুঝায় Internet Protocol. এই প্রটোকলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম দেয়া আছে যেগুলা মেনে সমস্ত ডিভাইস ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করে থাকে। IP Address চারটি ভাগে বিভক্ত থাকে। যেমন একটি IP Address ধরি, 192.168.0.231 যেখানে এর ২ টা পার্ট থাকে। একটি পার্টকে বলা হয় ডিভাইসের পার্ট অন্যটিকে বলা হয় ইউজারের পার্ট। IP Address এর প্রথম ৩ অংশ ডিভাইসের হয়ে কাজ করে এবং শেষের অংশ ইউজারের হয়ে। মানে হল আগের IP Address এর 192.168.0 হল ডিভাইসের অংশ অর্থাৎ ইউজার যে ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে তার সাথে যে নেটওয়ার্ক সিস্টেম সংযুক্ত আছে তার অংশ। পরের 231 হল ইউজারের নিজস্ব অংশ। যেহেতু একই নেটওয়ার্ক দিয়ে একাধিক ইউজার কাজ করে থাকে। একই নেটওয়ার্ক সিস্টেমের আওতায় না থাকলে ২ টা ডিভাইস কখনই নিজেদের ভিতর যোগাযোগ করতে পারবে না। সুতরাং, IP Address এর প্রথম ৩ টি অংশ মানে ডিভাইসের অংশ একই না হলে ২ জন ইউজার ঐ ডিভাইস ইউজ করতে পারবে না। এখানে IP Address এর কিছু প্রকারভেদ আছে। যেমনঃ

1. Class A
2. Class B
3. Class C

আগের IP Address এর প্রথম অংশ মানে 192 হল এটার Class A টাইপের এড্রেস। পরের পার্ট সাথে নিয়ে অর্থাৎ 192.168 নিয়ে হয় Class B টাইপ এড্রেস। ৩ টা নিয়ে মানে 192.168.0 নিয়ে হয় Class C টাইপ এড্রেস। যে কোন অংশের ডিজিট 0-255 পর্যন্ত থাকে। এর বেশি হয় না।

[su_button url=”https://blog.bohubrihi.com/technology/emojis-as-password/” target=”blank” style=”soft” background=”#60b9b3″ wide=”yes” center=”yes” icon=”icon: pencil”]Read More: ডিজিটের পরিবর্তে ইমোজি ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড[/su_button]

এবার আসা যাক কাজের কথায়। কিভাবে রাউটার কাজ করে। কাজ করার জন্য সবার আগে যা করে তা হল কাছাকাছি IP Address খুঁজে। রাউটারের আরেকটি বিশেষ সিস্টেম হল সবথেকে কাছাকাছি যে নেটওয়ার্কটা থাকে তার সাথে কানেক্টেড হওয়ার চেষ্টা করে। আর কোন নেটওয়ার্ক তার সবথেকে কাছাকাছি আছে তা জানতে পারে মেট্রিক ভ্যালু নামে একটি উপায়ের মাধ্যমে। মেট্রিক ভ্যালু একটি বিশেষ নম্বর যা প্রতি রাউটারে থাকে এর ইন্টারনাল অংশ হিসেবে। যেমন ধরা যাক, ২ টি রাউটার একই দুরত্বে আছে ২ টি আলাদা জায়গাতে। এখন যে রাউটারের মেট্রিক ভ্যালু কম ডিভাইস আগে তার সাথে যুক্ত হতে চাইবে। এটাই সিস্টেম। আর একত্রে যুক্ত হউয়ার জন্য সবথেকে যে জিনিসের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে তা হল IP Address. এর সাথে না মিল হলে কখনই নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে পারবে না। তাহলে ব্যাপারটা হল আমরা ফোনে ওয়াইফাই অন করলেই তা খুঁজে আশেপাশের কম মেট্রিক ভ্যালু বিশিষ্ট একই IP Address বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক পাওয়া মাত্রই সেটার সাথে যুক্ত হয়ে যায় আমাদের ডিভাইস। এভাবেই আমরা সব তথ্য পেয়ে যাচ্ছি মুহূর্তেই।

শেয়ার করুন

1 thought on “রাউটার কিভাবে কাজ করে?”

Leave a Comment