জনপ্রিয় কিছু ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক

বর্তমান সময়ে যেকোন ওয়েবসাইট তৈরীর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম গুরুত্ব দেয়া হয় যে ইউজার ওয়েবসাইটটি স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারছে কিনা। ধরা যাক, একটি ওয়েবসাইট অনেক গুলো প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারে। কিন্তু ইউজার যদি জটিল এবং বিভ্রান্তিকর ডিজাইনের কারণে ওয়েবসাইট ব্যবহারের উপায় বুঝতেই না পারে তাহলে সেই ওয়েবসাইট তাদের কোন কাজে আসেনা।

ব্যাকএন্ডে যতই জটিল কাজ চলুক না কেন, ইউজারের জন্য তা সুন্দর এবং সরল করে উপস্থাপন করাই ফ্রন্ট-এন্ডের কাজ।

চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে।

ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক কী?

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জগতে ফ্রেমওয়ার্ক এখন বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। ফ্রেমওয়ার্ক মূলত কিছু পুনরায় ব্যবহার্য কোডের সমন্বয় যা ডেভেলপারদের খুব সহজ একটি প্ল্যাটফর্ম দেয়। কাজেই ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরী করা এখন অনেক সহজ।

আমরা একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে চোখের সামনে যা কিছু দেখতে পাই, তার সব কিছুই ফ্রন্ট-এন্ডের কীর্তি। যেমন: বিভিন্ন বাটনের রং, লেবেল, লেখার ফন্ট ইত্যাদি। 

এ থেকে বুঝাই যাচ্ছে যে ফ্রন্ট-এন্ডের কাজ বর্তমান সময়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কারণ মানুষের অজস্র ব্যস্ততার মাঝে মানুষ এখন সে ওয়েবসাইটই খুঁজে যা ব্যবহার করা তার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক। তাই পৃথিবীর সব বিখ্যাত ওয়েবসাইট ফ্রন্ট-এন্ড সুন্দর করার প্রতিযোগিতায় মত্ত।

কিন্তু সমস্যার ব্যাপার এই যে ফ্রন্ট-এন্ডের কাজ করা এতটা সহজ না। এক একটি বাটন বসানোর জন্য একগাদা করে কোড লেখা। অথবা ছোট কিছু পরিবর্তনের জন্য বিশাল কোডে পরিবর্তন করা। এসকল বিভিন্ন সমস্যা ডেভেলপারদের সৃজনশীলতায় বাঁধা প্রদান করে। কারণ ডিজাইনের চেয়েও বেশী তাদের কোডিংয়ের দিকে ফোকাস করতে হয়।

তবে ফ্রেমওয়ার্কের ব্যবহার ডেভেলপারদের এ সবকিছু থেকে মুক্তি দেয়। কারণ এতে বিভিন্ন ডিজাইনের কোড আগে থেকে দেয়াই থাকে। তাই বাটন বসানোর জন্য কেবল বাটন এর ডিফল্ট কোড ব্যবহার করে একদম সরাসরি ডান বাম করিয়ে বসিয়ে দেয়া সম্ভব।

বাটন তো খুবই সামান্য একটি উদাহরণ। ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে আরো হাজারো ডিজাইন খুব সহজেই বসানো যায় যাদের পিছনের কোড হয়ত অনেক বিশাল। এভাবেই এসব ফ্রেমওয়ার্ক ডেভেলপারদের সৃজনশীলতাকে আরো বিকশিত করে। ডেভেলপাররা কোডিং এর কথা না ভেবে কেবল কার্যকর, সহজবোধ্য ডিজাইন তৈরীর দিকে ফোকাস করতে পারে।

ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে

ফ্রন্ট-এন্ডের কাজ যত বেশী সুন্দর এবং নিখুঁত হবে, ইউজারদের জন্য ওয়েবসাইটের ব্যবহার ততই সহজ ও জনপ্রিয় হবে। উদাহরণ হিসেবে আমরা যখন ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামের মত সাইটগুলোর দিকে তাকাতে পারি।

আমরা যখন এই ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করি, সামান্য একটি রিয়েক্টের জন্য সেখানে অনেকগুলো কাজ হয়ে যায়। ডাটাবেজে নির্দিষ্ট মানুষের নির্দিষ্ট ছবির বিপরতে সেই রিয়েক্টটি এসাইন হয়ে যায়। এছাড়াও সেই ব্যক্তি বা পেইজের একাউন্টের অন্যান্য জিনিসও আমাদের নিউজফিডে আসতে থাকে।

কিন্তু এর কোন কিছুই আমরা দেখতে পাইনা। আমরা কেবল দেখতে পাই একটি রিয়েক্ট বাটন। এই বাটনটি ক্লিক করলেই বাকি কাজ ব্যাকএন্ডে নিজে নিজেই হয়ে যায়। এ ধরণের ওয়েবসাইটগুলো অনেক বেশী ইউজার ফ্রেন্ডলি হওয়ার কারণেই এরা সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়।

সহজে জটিল ওয়েবসাইট ডিজাইন করা সম্ভব

নিখুঁত ওয়েবসাইট ডিজাইন একদম তৃণমূল পর্যায়ের কোডিং দিয়ে তৈরী করা খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু বিভিন্ন ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে খুব সহজেই কঠিন ডিজাইন করা সম্ভব।

একদিকে ফ্রেমওয়ার্কগুলো শেখা খুবই সহজ, আর অন্যদিকে এগুলো ব্যবহার করে অসাধারণ সব ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যায়। তাই দিন শেষে একটি সহজবোধ্য এবং আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরীর জন্য ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক সম্বন্ধে ধারণা থাকা খুবই দরকার।

দ্রুত ও সহজে ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা যায়

এ যুগে সবাই এখন চায় এক ক্লিকেই সবকিছু হয়ে যাক। এক ক্লিকেই টিকেট বুকিং, এক ক্লিকেই ডাটা এন্ট্রি। এক ক্লিকেই শতখানেক কাজ সম্পন্ন করার জন্য ইউজার ইন্টারফেস অনেক সরল করে ডিজাইন করতে হয়। যেহেতু ফ্রেমওয়ার্ক পুনরায় ব্যবহার্য কোড প্রদান করে, তাই সেগুলো বার বার ব্যবহারে খুব অল্প সময়ে ও সহজে বড় বড় ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলা সম্ভব।

এমন চাহিদার সাথে কাঠিন্যের এই অসামঞ্জস্যতাগুলো দূর করতেই ব্যবহৃত হচ্ছে নানান ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক।

আরও পড়ুনঃ ব্যাক-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক- সুবিধা-অসুবিধা

বিভিন্ন জনপ্রিয় ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক

Vue.js (ভু.জেএস)

বর্তমান সময়ের খুবই জনপ্রিয় একটি ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক এই Vue.js. এটি মূলত জাভাস্ক্রিপ্ট ভিত্তিক একটি ফ্রেমওয়ার্ক। Vue.js খুব সহজেই কমপ্লেক্সিটি কমিয়ে ফেলতে পারে, অথচ এটির সাইজও খুব একটা বড় না। তাই  এটি অন্যান্য ফ্রেমওয়ার্কের চেয়ে অনেক বেশী সুবিধাজনক। 

Vue.js মূলত DOM এবং কম্পোনেন্ট ভিত্তিক একটি ফ্রেমওয়ার্ক। এটি হরেক রকম কাজের জন্য প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। তাই এটি দিয়ে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল অ্যাপ সহ প্রায় সবকিছুই করা যায়। ওয়েবসাইট স্ট্যাটিক হোক বা ডাইনামিক, খুব সহজেই এটি ব্যবহার করে সুন্দর একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যায়।

Vue.js-এর সুবিধা

  • যথেষ্ট পরিমাণ ডকুমেন্টেশন পাওয়া যায়
  • যেকোন ডিজাইনের জন্য অনেক বেশী ফ্লেক্সিবল
  • যে কেউ কেবল জাভাস্ক্রিপ্ট শিখে এটি সহজে ব্যবহার করতে পারবে
  • কমপ্লেক্সিটি অনেক কমিয়ে আনে
  • টাইপস্ক্রিপ্ট সাপোর্ট করে

Vue.js-এর অসুবিধা

  • কম্পোনেন্টগুলো তুলনামূলকভাবে কম স্থিতিশীল
  • কমিউনিটি অনেক ছোট হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ সোর্স কোড পাওয়া যায় না
  • প্লাগ-ইনস বা কম্পোনেন্ট খুঁজে পেতে অনেক সময় ঝামেলা হয়
Vue.js-এর উদাহরণ

https://github.com/prismicio/vuejs-website

React (রিয়েক্ট)

ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে অন্যতম সরল একটি ফ্রেমওয়ার্ক হল React. এটি মূলত কোড মেইন্টেইন জনিত সমস্যা সমাধান করার জন্য তৈরী করা হয়েছিল। যেহেতু বর্তমান সময়ে বেশীরভাগ ওয়েবসাইট অনেক বেশী ফিচারসমৃদ্ধ, তাই কোড মেইন্টেইন করার মত এমন একটি ফ্রেমওয়ার্ক অনেক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়।

এটি ভার্চুয়াল DOM এর সুবিধা প্রদান করে। এটি একটি স্থিতিশীল প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে, যা একটি সহজবোধ্য ওয়েবসাইট তৈরী করতে খুবই প্রয়োজনীয়।

React-এর সুবিধা

  • কম্পোনেন্টগুলো পুনরায় ব্যবহার্য
  • কম্পোনেন্টগুলো খুব সহজেই অন্যান্য অংশের সাথে ব্যবহার করা যায়
  • আধুনিক সব ট্যুলস ব্যবহার করা যায়
  • ভার্চুয়াল DOM ব্যবহার করা যায় বিধায় কর্মদক্ষতা বেশী
  • সহজেই শেখা যায়

React-এর অসুবিধা

  • যথাযথ ডকুমেন্টেশন না থাকায় আপডেটের সাথে তাল মেলাতে ডেভেলপারদের নানান বাঁধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়
  • জাভাস্ক্রিপ্টের যথাযথ জ্ঞান না থাকলে JSX এর ব্যবহার কঠিন মনে হতে পারে
  • একদম নতুন ডেভেলপারদের জন্য শেখা কিছুটা কষ্টদায়ক
React-এর উদাহরণ

https://github.com/prismicio/reactjs-website

বহুব্রীহির রিয়েক্ট উইথ রিডাক্স কোর্সটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Angular (এঙ্গুলার.জেএস)

Angular মূলত একটি টাইপস্ক্রিপ্ট ভিত্তিক ফ্রেমওয়ার্ক। এটি Tow-way ডাটা বাইন্ডিং ব্যবহার করে। তাই মডেল এবং ভিউ এর মধ্যে রিয়েল-টাইম প্যাটার্ন কাজ করে। যেহেতু ডাইনামিক ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে রিয়েল-টাইম কনেকশান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডাইনামিক ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে Angular সবচেয়ে কার্যকর ফ্রেমওয়ার্ক। এছাড়াও একাধিক পেইজযুক্ত ওয়েবসাইট তৈরীতে এটি খুবই মানানসই।

Angular-এর সুবিধা

  • ফ্রেমওয়ার্কটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মডেল এবং ভিউর মধ্যে রিয়েল-টাইম কানেকশান লক্ষ্য করা যায়
  • অনেক কম কোডিং দিয়েই বড় ওয়েবপেজ বানানো সম্ভব
  • পুনরায় ব্যবহার্য কম্পোনেন্ট ব্যবহার করা যায়
  • কমিউনিটি সাপোর্ট অনেক বড় বিধায় সহজেই সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়

Angular-এর অসুবিধা

  • টাইপস্ক্রিপ্ট ভিত্তিক হওয়ায় অন্যান্য ফ্রেমওয়ার্কের তুলনায় শেখা কঠিন
  • যথাযথ ডকুমেন্টেশন নেই, তাই শিখতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়
Angular-এর উদাহরণ

https://github.com/AndrewJBateman/angular-website-example

React Native (রিয়েক্ট নেটিভ)

React Native মূলত নেটিভ কম্পোনেন্ট প্রদান করে। তাই কেউ DOM কম্পোনেন্ট ব্যবহার না করে নেটিভ কম্পোনেন্ট ব্যবহারে করতে চাইলে React Native তার জন্য অত্যন্ত উপযোগী একটি ফ্রেমওয়ার্ক। কোন ডেভেলপার রিয়েক্টের (React) সাথে পরিচিত থাকলে React Native তার জন্য অনেক সহজ হয়ে যায়। কারণ এদের কোডিং প্রায় একই ধাঁচের।

এছাড়া React Native জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী ব্যবহার করে। কাজেই জাভাস্ক্রিপ্টের যথাযথ ধারণা থাকলে এটি ব্যবহার করে সহজেই ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যায়। এছাড়াও এটি ক্রস-প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।

React Native-এর সুবিধা

  • কোড বিল্ড করতে খুবই কম সময় নেয়
  • যেহেতু এটি জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী ব্যবহার করে, তাই অনেক রকমের প্যাকেজ ব্যবহার করা যায়
  • অনেক দ্রুত রিফ্রেশ করা যায়
  • ইউজার ইন্টারফেসকে অনেক সরল এবং বোধগম্য বানানো যায়
  • বড় কমিউনিটি থাকায় সহজেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়

React Native-এর অসুবিধা

  • এটি অনেক ডিবাগিং ট্যুলের সাথে মানানসই নয়
  • কিছু ক্ষেত্রে অনেক ডিবাগিং টুল অনুপস্থিত 
  • DOM ভিত্তিক কম্পোনেন্ট ব্যবহার করা যায় না
  • একই কম্পোনেন্ট প্ল্যাটফর্ম এর ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে বিধায় পৃথকভাবে শিখতে হয়
React Native এর উদাহরণ

https://github.com/necolas/react-native-web

বহুব্রীহির রিয়েক্ট নেটিভ কোর্সটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

JQuery (জেকুয়েরি)

Jquery শুরুর দিকে আবিষ্কৃত ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্কের একটি। যদিও এটি অনেক পুরোনো একটি ফ্রেমওয়ার্ক, তবু এখনো এর প্রচলন রয়েছে। এর অন্যতম কারণ এটি খুব সহজ কোডিং দিয়েই শিখে ফেলা সম্ভব, তাই এর ব্যবহারও অনেক সহজ। 

যেহেতু এটি অনেক বছর ধরেই বিদ্যমান, তাই এর কমিউনিটি প্রায় অন্য সকল ফ্রেমওয়ার্কের চেয়ে অনেক বেশী বড়। যে কারণে নতুন ডেভেলপাররা যে কোন সমস্যার জন্য খুব সহজেই সমাধান খুঁজে পায়। এছাড়াও এটি প্রায় সব ব্রাউজারের সাথে মানানসই। তাই ইউজার যে ব্রাউজারই ওপেন করুক, ওয়েবসাইটের ডিজাইনে কোন অসামঞ্জস্যতা আসেনা।

Jquery-এর সুবিধা

  • সহজেই এলিমেন্ট এড বা রিমুভ করা যায়
  • অনেক সহজেই HTTP রিকুয়েস্ট পাঠানো যায়
  • অনেক বড় কমিউনিটি হওয়ায় সহজেই সমাধান পাওয়া যায়
  • সব রকম ব্রাউজারের সাথে মানানসই

Jquery-এর অসুবিধা

  • কর্মদক্ষতা তুলনামূলকভাবে কম
  • ধীর গতিতে রান করে
  • অনেক ক্ষেত্রেই কিছু API অপ্রচলিত
  • অতিরিক্ত জাভাস্ক্রিপ্ট কোড সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট বানানো যায় না
Jquery-এর উদাহরণ

https://github.com/vadikom/smartmenus

Emberjs (এম্বার.জেএস)

এটিও একটি জাভাস্ক্রিপ্ট কোডিং ভিত্তিক ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক। এটিও Two-way বাইন্ডিং সুবিধা প্রদান করে। বর্তমান যুগের নতুন সব টেকনোলজির সাথে খাপ খাওয়ানোর মত করেই এটিকে তৈরী করা হয়েছে। তাই এটি অত্যন্ত যুগোপযোগী একটি ফ্রেমওয়ার্ক।

অনেক কমপ্লেক্স ফাংশনালিটিযুক্ত ওয়েবসাইটও এর দ্বারা খুব সহজেই ডিজাইন করে ফেলা সম্ভব। Emberjs ফ্রেমওয়ার্ক অন্যান্য ফ্রেমওয়ার্কের চেয়ে অনেক দ্রুত কাজ করে।

Emberjs-এর সুবিধা

  • অনেক গোছানো একটি ফ্রেমওয়ার্ক
  • দ্রুত ফলাফল দেয়
  • Two-way ডাটা বাইন্ডিং সুবিধা প্রদান করে
  • যথাযথ ডকুমেন্টেশন খুঁজে পাওয়া যায়
  • নতুন যুগের চাহিদার সাথে সংগতিপূর্ণ

Emberjs-এর অসুবিধা

  • কমিউনিটি অনেক ছোট হওয়ায় সহজে সমাধান খুঁজে পাওয়া যায় না
  • কোড অনেক বেশী জটিল
  • আপডেট অনেক ধীরগতিতে সম্পন্ন হয়
  • অনেক বড় একটি ফ্রেমওয়ার্ক, তাই ছোট ওয়েবসাইটের জন্যও অনেক জায়গা নেয়
Emberjs এর উদাহরণ

https://github.com/emberjs/website

ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মূল উদ্দেশ্যই হলো একটা ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরী করা। তাই খুবই সরলতম ইউজার ইন্টারফেস তৈরী করা যেকোন ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপারের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক ওয়েব ডেভেলপারের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পাশাপাশি তাদের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত করে দেয়।

শেয়ার করুন

Leave a Comment